বিশেষ প্রতিনিধি :রাকিব ইসলাম.
গাজীপুর মহানগরের পূবাইল থানার কামারগাও(কোনাবাড়ী) এলাকায় পৈত্রিক সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মাণের সময় রাস্তাকে কেন্দ্র করে সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর, চাঁদা দাবি এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একদল চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বসগাঁও এলাকার বাসিন্দা মেজবা উদ্দিন (৬৩) গত ৮ জুন তার পুরনো স্থাপনা ভেঙে নতুন বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এরপর ১০ জুন জাকির (৫০) এর নেতৃত্বে রুবেল, সাকিল, জামিলসহ আরও কয়েকজন তার কাছে সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মেজবা উদ্দিন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এবং তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে ১৯ জুন দুপুর ১২টার দিকে অভিযুক্তরা নির্মাণাধীন জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় এবং নির্মাণ সামগ্রী লুট করে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান অভিযোগকারী।
মেজবাহ উদ্দিনের ভাতিজা রিংকু জানান আমাদের পৈত্রিক ভিটা বাড়িতে কাজ করতে গেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিছু লোক নিজেদের স্বার্থ পূরনে ব্যর্থ হয়ে আমাদের স্থাপনা ভাঙচুর করে। চার মাস আগেও তারা তার কাছে চাঁদা দাবি করেছিল, এবং না পেয়ে ফলের গাছ ও অন্যান্য গাছপালা পুড়িয়ে দেয়।তিনি আরো জানান ৩০ বছর তো দূরের কথা কোনদিন এদিক দিয়ে প্রস্তাবিত রাস্তা ছিল না।জমি গুলো পতিত পড়ে থাকায় কিছু লোকজন এদিক দিয়ে চলাচল করতো।এখন আমাদের জমি ভাড়া দিয়েছি। ভাড়াটিয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সীমানা প্রাচীর করে দেওয়া।ঐ এলাকার স্থানীয় কয়েকজন জানান এটি কোন স্থায়ী রাস্তা না সাময়িক চলাচলের জন্য কিছু লোক জমির মাঝখান দিয়ে আসাযাওয়া করেন।
পূবাইল থানার এস আই জনি জানান দুটি পক্ষের কাছ থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি নির্মাণ করা স্থাপনার উত্তর পাশ দিয়ে একটি হাটা চলার রাস্তা ছিল। সেই রাস্তা নিয়ে এখনো বিরোধ তৈরি হয় ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আমিরুল ইসলাম জানান,উভয়পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি তারা থানায় এসেছিল যেহেতু রাস্তা একটি সাদগায় জারিয়া তাই চলাচলের কথা চিন্তা করে স্থানীয়ভাবে বসে এটি সমাধানের চেষ্টা করাটা মঙ্গল বলে আমি মনে করি।