বিশেষ প্রতিনিধি :খসরু মৃধা
গাজীপুর মহানগরের ৪১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন মোল্লার উপর আতর্কিত হামলা ও প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীদল।সিটি কর্পোরেশনের সড়কে বোল্ডার পাথর ফেলে ও সিমেন্টের পিলার নির্মাণ করে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় কাউন্সিলর প্রতিবাদ করেন। ফলে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।প্রকাশ্যে কাউন্সিলরকে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় ও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার বিকাল ৫ টার দিকে পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার বসুগাঁওয়ের জাপান স্কুল অ্যান্ড কলেজ রুট ও টঙ্গী-ঘোড়াশাল মহাসড়ক তিন রাস্তার মোড়ে।
বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবাদ জানাতে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে ও ঘটনা সামাল দিতে রাতেই গাজীপুর সিটিকর্পোরেশন এর প্যানেল মেয়র মাসুদুল হাসান বিল্লাল,৪০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম খান বিকি ও ৪২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান উদ্দিন আহমেদ পূবাইল থানায় চলে আসেন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ওই সময় থানার বাইরে উৎসুক শতাধিক জনতার ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
এই বিষয়ে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে পূবাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন স্থানীয় কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন মোল্লা।
অভিযুক্তরা হলেন-একই এলাকার সাইফুল ইসলাম, মোঃ শাওন, ফরিদ হোসেন ও ইসমাইল হোসেন ইনু।
জিডি সূত্রে জানা যায় -টঙ্গী – ঘোড়াশাল মহাসড়ক ও জাপান স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুগাঁও সংযোগস্থল তিনরাস্তার মোড়ে সড়কে ময়লার ট্যাংকি ও সিমেন্টের পিলার ও পাথর দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে স্থানীয় ফরিদ হোসেন।ওই স্থানে কিছুদিন আগে অটোরিকশা ও লেগুনার সংঘর্ষে জাপান স্কুলের দুজন মেধাবী এইচএসসি পরীক্ষার্থীর অকাল মৃত্যু হয়। সিটি করপোরেশনের সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন মোল্লা প্রতিবাদ ও পিলার,পাথর সড়িয়ে নিতে বলেন। এই ঘটনায় ক্ষীপ্ত হয়ে স্থানীয় সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ দল কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন মোল্লার উপর আতর্কিত হামলা চালায় ও প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। উপায়ন্তর না দেখে কাউন্সিলর আমজাদ পুলিশ ডাকলে পুলিশের সামনেই ওই দলটি আবারও তার দিকে তেড়ে আসে। অবশেষে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পরিস্থিতি সামাল দেয় বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ কামারুজ্জামান জানান বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ও তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।