গাজীপুর প্রতিনিধি
এই খবরটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নির্দেশ করছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে শেখ হাসিনা এবং অন্য ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া মানে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এই অভিযোগগুলো উত্থাপিত হয়েছে, যা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে। ট্রাইব্যুনালের এই সিদ্ধান্ত নতুন তদন্তের পথ উন্মুক্ত করেছে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে।আপনার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে ভারতে চলে যান। তারপরে, একটি ট্রাইব্যুনাল সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, অন্যান্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি যেমন শেখ রেহানা, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ডা. দীপু মনি এবং পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ অনেকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। এই ঘটনার জন্য সরকারের আমল এবং তাদের ভূমিকার উল্লেখ করা হয়েছে।
আপনার আরও কিছু জানতে চাওয়া থাকলে জানান।সদ্য পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনাল তিন সদস্যের একটি প্যানেল নিয়ে কাজ করছে, যেখানে বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী অন্তর্ভুক্ত। চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অপরাধের প্রভাবশালী আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে তদন্ত কঠিন হবে। তিনি আরও জানান, ট্রাইব্যুনালে দুইটি আবেদন পাঠানো হয়েছিল—একটি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং অন্যটি ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য। ট্রাইব্যুনাল তাদের আবেদন মঞ্জুর করে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন