স্টাফ রিপোর্টার :শাকিল মোল্লা
ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ — বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ছাত্রজনতার রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ও দাফন হয়েছে। তিনি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন, এই দেশে আর আওয়ামী লীগের নামে কোনো রাজনীতি করা জায়েজ নেই এবং দেশের মানুষ সেই অনুমতি দিবে না।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণ তাদের চূড়ান্ত রায় দিয়েছে। আওয়ামী লীগের অপশাসন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে। এই রক্তস্নাত সংগ্রাম শুধু একটি দলের পতনই নয়, বরং একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের সূচনা।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আওয়ামী লীগের নামে আর কোনো রাজনীতি চলবে না। দেশের মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ পরিষ্কার। আমরা একটি গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের জন্য কাজ করব।”
গত কয়েক মাস ধরে দেশজুড়ে চলা গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে সালাহউদ্দিন আহমেদের এই বক্তব্য এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের অভিযোগে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠে। এই আন্দোলনে ছাত্র, যুবক, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়।
বিএনপি নেতার এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করছে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও উত্তপ্ত হতে পারে।
সালাহউদ্দিন আহমেদের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এবং সরকারের অবস্থান নিয়ে দেশবাসী এখন সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।