নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়নের মুন্সীবাগে ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ার হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকী সহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ডিস এবং ইন্টারনেট সামগ্রী ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে আদর্শ নগর, মুন্সীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। কিশোরগ্যাং লিডার মিজান, সোহেল, শওকত, কামালকে।
এই মামলার প্রধান আসামী শহীদ নগরের কিশোর গ্যাং লিডার মোজাহিদ, মুন্সীবাগের আসলাম, আনোয়ার, সাইফুল পলাতক রয়েছে।
মোজাহিদ, মিজানের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় আরো নানা অপকর্মের মামলা রয়েছে। কয়েকমাস আগে মোজাহিদ ফেন্সিডিল এবং ইয়াবা ট্যাবলেট সহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি পুলিশের) হাতে গ্রেফতার হয়েছিল।
মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন জানায়, কুতুবপুর শহীদ নগরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এবং কিশোর গ্যাং লিডার মোজাহিদ, মুন্সীবাগের মিজান, শওকত, সোহেল, আনোয়ার, আসলাম, কামালসহ কিছু কিশোর অপরাধী ইন্টারনেট ও ডিসের অফিস ‘পুস্পিতা এন্টারপ্রাইজে’ এসে প্রতিমাসে ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। গত ১৪মার্চ পূনরায় চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। ওইদিন মধ্যরাতে কিশোর অপরাধীরা ইন্টারনেট এবং ডিসের প্রায় ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মালামাল ভাংচুর করে।
এই মিজান মুন্সীবাগের সকলকে পরিচয় দিয়ে থাকেন তিনি রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবনে নৈশ প্রহরীর দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে তিনি, বঙ্গভবনে ঝাড়বাত্তি পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিজান এন্টারপ্রাইজ এর মাধ্যমে কনস্ট্রাকশনের কাজ করে থাকেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের তিনি কোনো কাজে নিয়োজিত কর্মরত কর্মকর্তা নয়।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবনের নৈশ প্রহরীর পরিচয় দিয়ে কুতুবপুর ইউনিয়নে কিশোরগ্যাং তৈরি করে মাদকদ্রব্য ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে রাম রাজত্ব কায়েম করেছে।
এছাড়াও, এই মিজান, মুন্সীবাগের বায়তুল ইসহাক মসজিদের ক্যাশিয়ার হিসেবে অর্থ আত্মসাৎ করার কারণে তাকে মসজিদ কমিটি থেকে একবার বিতাড়িত করেছিল সেই চাঁদাবাজ মিজান, মসজিদটির ক্যাশিয়ার হিসেবে কিভাবে রয়েছে তাও সন্ধিহান।
২৪ ই মার্চ নারায়ণগঞ্জ কোর্ট থেকে ম্যাজিস্ট্রেট এই চাঁদাবাজ মিজানের জামিন না মঞ্জুর করে ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
জানা যায়, পলাতক আসামীরা, সামাজিক সোশিয়াল মাধ্যম ফেসবুকে, “সাবা আক্তার মিম” নামে ১টি ফেইক আইডি খুলে বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন বাংলার লোগো বসিয়ে প্রেজেন্টার এর ভিডিও এডিট করে লাগিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্যমূলক অপপ্রচার করে যাচ্ছে পলাতক আসামিদেরকেও দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন রনি জোরালো দাবি জানিয়েছেন।