স্টাফ রিপোর্টার : আমিনুর রহমান ইমতিয়াজ
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপরীতে ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিস বড় পরাজয়ের মুখে পড়েছেন। এ নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। অনেকেই হ্যারিসের পরাজয়ের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করছেন, যিনি নির্বাচনী প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন এবং যার ফলাফল ডেমোক্র্যাটদের বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
সাবেক প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মনে করেন, যদি বাইডেন আরও আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি যথাযথ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করতে পারত। তাঁর মতে, বাইডেনের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেরিতে হওয়ায় হ্যারিস নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতির সুযোগ পাননি।
কমলা হ্যারিসের উপদেষ্টারা দাবি করছেন, তাঁরা প্রচারে যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন, কিন্তু বাইডেনের দেরিতে সরে যাওয়ার কারণে ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় পাননি। হ্যারিসের এক উপদেষ্টা বলেন, “প্রচারের কাজ ছিল পূর্ণ উদ্যমে, কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে ফলাফল পাওয়া যায়নি।”
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের সিনেটর জন ফেটারম্যান এই হারকে বাইডেনকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের ফলাফল হিসেবে দেখছেন। তাঁর মতে, বাইডেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরাই দলকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন।
বাইডেন-ঘনিষ্ঠরা অবশ্য অন্য মত দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, হ্যারিস এবং তাঁর সমর্থকেরা এখন ব্যর্থতার দায় অন্যের উপর চাপাচ্ছেন। ট্রাম্পের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেও কেন নির্বাচনে জেতা সম্ভব হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বাইডেনের এক সাবেক উপদেষ্টা।
এই অন্তর্কোন্দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরকার বিভাজনকে আরও উন্মোচিত করেছে এবং ভবিষ্যতের রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে। দলের অভ্যন্তরে নেতৃত্ব নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা পরবর্তী নির্বাচনী প্রস্তুতিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।